ময়মনসিংহ
বাংলাদেশের অষ্টম প্রশাসনিক বিভাগ। জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা জেলা নিয়ে ময়মনসিংহ বিভাগ গঠিত। ১৮২৯ সালে ঢাকা বিভাগ প্রতিষ্ঠার সময় থেকে ২০১৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চল ঢাকা বিভাগের অংশ ছিল। ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে ঢাকা বিভাগ ভেঙ্গে নতুন ময়মনসিংহ বিভাগ গঠনের ঘোষণা দেন। শুরুতে ঢাকা বিভাগের উত্তর অংশ থেকে প্রতিবেশী ৮টি জেলা নিয়ে পরে ৬টি জেলা নিয়ে ময়মনসিংহ বিভাগ গঠনের পরিকল্পনা করা হয় এসময় টাঙ্গাইল ও কিশোরগঞ্জবাসী, ময়মনসিংহ বিভাগের অন্তর্ভুক্ত হতে অনীহা ও বিরোধিতা করে এবং ঢাকা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত থাকতেই ইচ্ছাপোষণ করে। অবশেষে ২০১৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ৪টি জেলা নিয়ে ময়মনসিংহ বিভাগ গঠিত হয়।
শশী লজ

রাজ বাড়ি
মুক্তাগাছা জমিদার বংশের উত্তরসরী নিঃসন্তান মহা রাজা সূর্যাকান্ত
আর্চায্য চৌধুরী তার দত্তক পুত্র শশীকান্তের নামানুসারে ময়মনসিংহ শহরে শশী লজ নামে একটি বিলাশবহুল দ্বিতলা প্রাসাদ নির্মান করেন। সূর্যকান্ত
আচার্য চৌধুরীর শাসনামলে ব্রহ্মপুত্র তীরবর্তী জনপদে যুক্ত হলো
সোনালি মাত্রা। প্রায়
৪১ বছর জমিদারি পরিচালনার
প্রশস্ত প্রেক্ষাপটে বহু জনহিতকর কাজ
করলেন তিনি। ময়মনসিংহে
স্থাপন করলেন একাধিক নান্দনিক
স্থাপনা। ঊনবিংশ
শতকের শেষপাদে ময়মনসিংহ শহরের কেন্দ্রস্থলে নয়
একর ভূমির ওপর একটি
অসাধারণ দ্বিতল ভবন নির্মাণ
করলেন সূর্যকান্ত। নিঃসন্তান
সূর্যকান্তের দত্তক পুত্র শশীকান্ত
আচার্য চৌধুরীর নামে এই ভবনের
নাম রাখা হলো শশী
লজ।
জমিদার বাড়ি
মুক্তাগাছা জমিদার
বাড়ি,
ময়মনসিংহ জেলাধীন মুক্ত্গাছা উপজেলা সদরে মুক্তাগাছা জমদিার বাড়িটি অবস্থিত । সুবিশাল জমদিার বাড়ির প্রধান প্রবেশ তোরণের পশ্চিম দিকে আটআনি প্রাসাদের অবস্থান ।ময়মনসিংহ জমিদারীর প্রতিষ্টাতা শ্রীকৃষ্ণ আর্চায চৌধুরী ১৭২৭ সালে আলীবর্দী খাঁর সময়ে এ জমিদারীর বন্দোবস্ত পান।
খ্রিস্টীয় উনিশ থেকে বিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে এ জমিদারীর উত্তরাধিকারীগন অনন্য স্থাপত্যশৈলীতে বিভিন্ন স্থাপনাসমূহ নির্মানণ করেছেন ।

১৯৯৩ থ্রি: -এ মুত্তাগাছার আটআনি জমিদার বাড়িসহ পার্শ্ববর্তী চারটি মন্দির প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কর্তৃক সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষিত হয় ।
বাংলাদেশ
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,

ময়মনসিংহের মন্ডা একবার খেলে বারবার খেতে মন চাইবে
প্রাচীনকাল থেকেই বাহারি মিষ্টান্ন তৈরীতে বাঙ্গালির বেশ খ্যাতি আছে। ঐতিহ্যগত কারনেই আমাদের দেশের বিভিন্ন জেলার নানা রকমের খাবার বিভিন্ন কারণে বিখ্যাত। যেমন- ময়মনসিংহের মালাইকারি, নেত্রকোনার বালিশ মিষ্টি, কুমিল্লার রসমালাই আর পোড়া সন্দেশ, পোড়াবাড়ির চমচম, নাটোরের কাঁচাগোল্লা ও বগুড়ার দইসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রসিদ্ধ সব খাবারের মতো ময়মনসিংহের মন্ডা বাংলাদেশের জনপ্রিয় ও প্রসিদ্ধ একটি মিষ্টান্নত। মুক্তাগাছার মন্ডার নাম শোনেননি ভোজনরসিকদের মাঝে এমন লোক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আজকের আয়োজন ময়মনসিংহের বিখ্যাত মন্ডা মিঠাই নিয়ে। চলুন মন্ডার স্বাদ নেই ঘরে বসে।
মন্ডা নিয়ে একটি কিংবদন্তি রয়েছে। ময়মনসিংহ শহর থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে মুক্তাগাছা। দুই শতাধিক বছর আগে মুক্তাগাছার প্রসিদ্ধ মন্ডার জনক গোপাল পাল এক রাতে স্বপ্নাদিষ্ট হলেন। শিয়রে দাঁড়িয়ে এক ঋষি তাকে আদেশ দিচ্ছেন মন্ডা মিষ্টি তৈরি কর। পরদির গোপাল ঋষির আদেশে চুল্লি খনন শুরু করলেন। দৈবাৎ উদয় হলেন সাধু। তিনি হাত বুলিয়ে দিলেন চুল্লিতে। শিখিয়ে দিলেন মণ্ডা তৈরির কলাকৌশল গোপালকে। দুধ ও চিনি দিয়ে তৈরি হলো মন্ডা।
ময়মনসিংহে ব্রহ্মপুত্র
ব্রহ্মপুত্র নদ বা ব্রহ্মপুত্র নদী এশিয়া মহাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী। সংস্কৃত ভাষায় ব্রহ্মপুত্রের অর্থ হচ্ছে "ব্রহ্মার পুত্র। ব্রহ্মপুত্রের পূর্ব নাম ছিল লৌহিত্য। ময়মনসিংহে ব্রহ্মপুত্র
<তথ্য সূত্র: আংশিক উইকিপিডিয়া মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে নেয়া>
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন